পৌরসভার অলিন্দে ফের আইনুল হক : জেলার পৌরসভাতেও প্রশাসকমন্ডলীতে বদল

17th August 2021 11:57 am বর্ধমান
পৌরসভার অলিন্দে ফের আইনুল হক : জেলার পৌরসভাতেও প্রশাসকমন্ডলীতে বদল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : ফের বর্ধমান পৌরসভার অলিন্দে পা রাখলেন প্রাক্তন পৌরপতি আইনুল হক । বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসকমন্ডলীর উপ পৌর প্রশাসক হিসাবে নতুন দায়িত্ব পেলেন তিনি ‌। চেনা জায়গায় ফের নতুন ভূমিকায় ফিরলেন আইনুল হক । ২০১১ সালের পর নানান রাজনৈতিক পালাবদলের মধ‍্যে দিয়ে এক সময়ের বাম শিবিরের অতি পরিচিত মুখ এখন তৃণমূল শিবিরে । মাঝে কিছুটা সময় বিজেপি শিবিরেও কাটিয়েছেন তিনি । যদিও সেসব রাজনৈতিক পরিবর্তন কে আপাতত সরিয়ে ফের বর্ধমান পৌরসভার অলিন্দে আইনুল হক । বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক হলেন প্রণব চট্টোপাধ্যায় । আর উপ প্রশাসক পদে এলেন আইনুল হক , ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আল্পনা হালদার । এছাড়াও সদস‍্য হিসাবে রয়েছেন ডাঃ শঙ্খশুভ্র ঘোষ ও উমা সাঁই । খবর পৌঁছাতেই উচ্ছ্বাস শহরের তৃণমূল শিবিরে । ফুল , মালা নিয়ে নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তদের সম্বর্ধনা জানাতে কর্মীরা হাজির হলেন পৌরসভায় । শাখা সংগঠনের সদস‍্যরাও হাজির । পাশাপাশি মেমারী পৌরসভায় প্রশাসক হিসাবে রয়ে গেলেন স্বপন বিষয়ী । যদিও উপ পৌর প্রশাসক সুপ্রিয় সামন্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণপদ বিশ্বাসকে । সদস‍্য হিসাবে রয়েছেন পল্লব চ‍্যাটার্জী , সন্তোষ বোয়াল ও মনসুরা বেগম ।  

দাঁইহাট পৌরসভার পৌর প্রশাসক হয়েছেন শিশির কুমার মন্ডল । উপ পৌর প্রশাসক প্রদীপকুমার রায় । সদস‍্য হয়েছেন গীতা ব‍্যানার্জী , সন্তোষ দাস , সুজাতা বিশ্বাস । কাটোয়া পৌরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় । তিনি এখন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতিও । উপ পৌর প্রশাসক হলেন সুফল রাজোয়ার , সুদীপ্তময় ঘোষ । এছাড়াও রয়েছেন অম্বিকাপ্রসন্ন ব‍্যানার্জী ও ইউসুফা খাতুন । কালনা পৌরসভার প্রশাসক হলেন আনন্দ দত্ত । উপ পৌর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চ‍্যাটার্জী । এছাড়াও রয়েছেন নিউটন মজুমদার , মোনালিসা মুখার্জী ও সঞ্জয় বিশ্বাস ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।